কুড়িগ্রামের উলিপুরে দুর্নীতি ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে শিক্ষা অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে ওই বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা ওই অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের যমুনা ব্যাপারি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফা বেগম।
আরও পড়ুন— বৈষম্যবিরোধী জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ
বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে বক্তারা জানান, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আমাদের যমুনা ব্যাপারি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে প্রধান শিক্ষক শরীফা বেগম। বিক্ষোবকারীরা ২০১৪ সালেও উক্ত শিক্ষকের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন বলেও এসময় জানান আন্দোলনকারীরা। এমনকি স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় সেসময় আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করা হয়েছিল।
বিক্ষোবকারীরা অভিযোগের সাথে আরও জানান, শরীফা বেগম ইচ্ছামত বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করত। দুপুর ১২ টার মধ্যেই নিয়মিত বিদ্যালয় ত্যাগ করতেন শিক্ষক শরীফা বেগম। চক স্পর্শ করলে এলার্জি হয় বলে তিনি পাঠদান করাতেন না।
আরও পড়ুন— বিজয়নগরে আজমেরী গ্লোরি পরিবহণে আগুন
বিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত স্লিপের অর্থ আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ের টিন, গেটের গ্রীলসহ সকল পুরাতন অবকাঠামো বিক্রয়, বিগত বছরের সকল ক্লাসে পরীক্ষায় ৮০% প্রশ্ন কমন দেয়া ও পরীক্ষা চলাকালীন বোর্ডে এবং স্ব-স্ব শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র প্রদান, ক্লাস পরিচালনায় ত্রুটি বিচ্যুতি, লেট প্রেজেন্ট, ছুটির কারণসহ কোনো ধরণের অনিয়ম এর সম্পূর্ণ দায়ভার প্রধান শিক্ষকেই নিতে হবে হবে বলেও জানান বিক্ষোভ ও মানববন্ধনকারীরা। এসময় তারা উক্ত শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে “শরিফা হটাও যমুনা স্কুল বাঁচাও স্লোগান দেন”।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শরিফা বেগমের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নার্গিস ফাতেমা তোকদার (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, “এ বিষয়ে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট ঢাকায় পাঠানো হবে। সেখান থেকে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সেটা বাস্তবায়ন করা হবে।”