গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৫২১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। টুঙ্গিপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক রাব্বী মোরসালিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খোরশেদ আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টা থেকে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সাঁজোয়া যান নিয়ে টুঙ্গিপাড়া থানার সামনে অবস্থান করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ সন্দেহে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা দিতে সাঁজোয়া যান নিয়ে সারা রাত টুঙ্গিপাড়া থানা ঘিরে রাখে সেনাবাহিনী। এলাকায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে প্রায় পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে টুঙ্গিপাড়া।
টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খোরশেদ আলম জানান, ‘রোববার রাতে উপজেলার খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করে নেতা-কর্মীরা। এ সময় এক কর্মীকে আটকের ঘটনায় পুলিশের উপর হামলা চালায় নেতা-কর্মীরা। এতে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত ও একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনায় টুঙ্গিপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক রাব্বী মোরসালিন বাদী হয়ে ১৭১ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৩৫০ জনকে আসামি করে টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলেও জানান ওসি।
এদিকে, নিরাপত্তা দিতে সাঁজোয়া যান নিয়ে সারারাত থানা ঘিরে রাখে সেনাবাহিনী। এলাকায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সম্ভাব্য গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকার পুরুষ সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈনুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও একজন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে উত্তেজিত জনতাকে বুঝিয়ে শান্ত করে সেই পুলিশ সদস্যকে ছাড়িয়ে ওসির কাছে পৌঁছে দেই। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
