১৯ টাকা বাড়িয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম ১ হাজার ৪৭৮ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের দাম ৮৯ পয়সা বাড়িয়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি লিটার ৬৭ টাকা ৭৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই দর ঘোষণা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। নতুন এই দর আজ সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর হবে।
এর আগে জানুয়ারি মাসের শুরুতে এলপিজির দাম অপরিবর্তিত রাখা হলেও পরে তা গত ১৪ জানুয়ারি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১,৪৫৯ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি গত ডিসেম্বরে দেশে ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ১ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
এদিকে জানুয়ারি শুরুতে ৩ পয়সা কমিয়ে ৬৬ টাকা ৭৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল অটোগ্যাসের দাম। এরপর গত ১৪ জানুয়ারি অটোগ্যাসের দামেও ৪৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ২৭ পুনর্নির্ধারণ করা হয়। আর গত ২২ জানুয়ারি ৪২ পয়সা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয় ৬৬ টাকা ৮৫ পয়সা।
২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। সে অনুযায়ী দেশেও দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।
