রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আন্দোলনে আহতরা ও তিতুমীরের সামনে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের ফলে তীব্র যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকা। এতে করে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে রাস্তা আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা। এর আগে সকাল থেকেই জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন জুলাই অভ্যুত্থানে আহতরা।
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে বাঁশ দিয়ে তিতুমীর কলেজের সামনের দুই পাশের রাস্তা আটকে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ করার ফলে মহাখালী থেকে গুলশান এবং গুলশান থেকে মহাখালী পর্যন্ত রাস্তার যান চলাচল সম্পন্ন বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবির পক্ষে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
এদিকে হঠাৎ করে রাস্তা বন্ধ করার পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাস্তার যাত্রীদের কথাবার্তা হয়। যাত্রীরা রাস্তা খুলে দিতে বললেও শিক্ষার্থীরা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তা ছাড়বেন না।
অন্যদিকে সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের মিরপুর রোডের উভয় পাশ দখলে নিয়ে সকাল হতে বিক্ষোভ করছেন জুলাই অভ্যুত্থানে আহতরা। শ্যামলীর শিশুমেলা মোড় অবরোধ করায় মিরপুর রোডের উভয় দিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এরআগে, একই দাবিতে শনিবার রাত ১১টার দিকে আন্দোলনে আহতেরা একই দাবিতে পঙ্গু হাসপাতলের সামনের সড়ক অবরোধ করে। এতে করে শ্যামলী থেকে আগারগাঁও সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় অর্থোপেডিক ইনস্টিটিউট ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের (পঙ্গু হাসপাতালের) সামনে থেকে সরে গিয়ে তারা ওই মোড়ে অবস্থান নেয় আহতরা। এতে করে মিরপুর রোডের উভয় দিকের পাশাপাশি শ্যামলী থেকে আগারগাঁও সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রীরা।
