২০২৩ সালে সুইডেনে পবিত্র ঈদুল আজহার দিন একটি মসজিদের সামনে প্রকাশ্যে মহা পবিত্র আল কোরআন পুড়িয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা সৃষ্টি করা সালওয়ান মোমিকা গুলিতে নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় সেই সময় সারা বিশ্বের মুসলিমরা ক্ষোভে ফেটে পরেন।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় স্টকহোমের একটি অ্যাপার্টমেন্টে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) জানিয়েছে ৩৮ বছর বয়সী সালওয়ান মোমিকা মূলত ইরাকি নাগরিক। তিনি সুইডেনে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে শরণার্থী শিবিরে ছিলেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলছে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। স্টকহোম পুলিশের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্যঃ ২০২৩ সালে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে প্রথম দুইবার কোরআন পোড়ান মোমিকা। প্রথম দফাটি হয় স্টকহোমের একটি মসজিদের বাইরে। দ্বিতীয়টি ইরাকি দূতাবাসের বাইরে।
বাকস্বাধীনতা আইনের অজুহাতে সুইডিশ পুলিশ কর্তৃক অনুমোদিত এই ধর্ম অবমাননাকর কাজটি মুসলিম বিশ্বে ক্ষোভ ও নিন্দার ঢেউ ছড়িয়ে দেয়।
গত আগস্টে সুইডেনের একজন প্রসিকিউটর মোমিকা ও কোরআন পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত আরেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ‘একটি জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলনের’ অভিযোগ আনেন।
খ্রিস্টান থেকে নাস্তিক হওয়া মোমিকা নিজেকে একজন ‘উদার নাস্তিক সমালোচক এবং চিন্তাবিদ’ হিসেবে বর্ণনা করতেন। গত বছর আন্তর্জাতিক একটি বার্তা সংস্থাকে মোমিকা বলেছিলেন, তিনি সুইডেন ছেড়ে নরওয়ে চলে গেছেন এবং সেখানে আশ্রয় নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
অসলো ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের এ সংক্রান্ত এক রায়ের নথি অনুসারে, মোমিকাকে গত বছরের ২৮ মার্চ গ্রেফতার করা হয়। তার একদিন আগেই সেখানে পৌঁছান তিনি।
সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ সেসময় জানায়, ৩০ মার্চ (২০২৪ সালের) শুনানির পর মোমিকাকে চার সপ্তাহের জন্য আটক রাখার সিদ্ধান্ত নেন আদালত। ইইউ আইন মেনে নরওয়েজিয়ান ডিরেক্টরেট অব ইমিগ্রেশন (ইউডিআই) তাকে সুইডেনে ফেরত পাঠানোর অপেক্ষায় রয়েছে বলেও তখন জানানো হয়।
