বিশ্ব বাজারে পোশাক রপ্তানিতে শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশ। আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ছে। গত নভেম্বরে বাংলাদেশ থেকে ইইউতে ১৫৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। আর আমেরিকায় রপ্তানি হয়েছে ৬১ কোটি ডলারের পোশাক। যা আগের বছরের চেয়ে ৪১ শতাংশ বেশি।
২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বাড়তে থাকে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি। ফলে ইইউসহ আমেরিকায় নিত্যপণ্য চাহিদা কমতে থাকে। এর প্রভাব পড়ে বাংলাদেশের পোশাক খাতেও। তবে, এখন তা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
এদিকে, ইইউর পরিসংখ্যান কার্যালয় জানিয়েছে, গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ থেকে ইইউতে ১৫৩ কোটি মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। যা ২০২৩ সালের একই মাসের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে, আমেরিকার টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের তথ্য মতে, গত নভেম্বরে বাংলাদেশ থেকে দেশটিতে রপ্তানি হয়েছে ৬১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি।
ইইউতে গত বছরের শুরুতে টানা তিন মাস বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি কমলেও বছর শেষে তা আবার বাড়তে শুরু করে। সব মিলিয়ে ইইউতে ১১ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশে রয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশের বৃহত্তম বাজার আমেরিকায় গত বছরের শুরু থেকে রপ্তানি ধারাবাহিকভাবে কমেছিল। তবে, বছরের শেষ দিকে তা বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকে দেশটিতে তৈরি পোশাক রপ্তানি গত সেপ্টেম্বরে ১৮ শতাংশ, অক্টোবরে ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য মতে, দেশ থেকে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস জুলাই-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি।
