জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের এক টাকাও আত্মসাৎ হয়নি বলে আদালতে তুলে ধরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এ সময় তারা আদালতকে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ ছাড়াই কেবল অনুমানের ভিত্তিতে দশ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের প্রথম দিনের শুনানিতে এসব কথা বলেন তারা। সকাল দশটার দিকে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চের এ শুনানি শুরু হয়। বুধবার আবারও এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যেন ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন এ কারণে পলাতক ফ্যাসিস্ট সরকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আদালতকে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সেটা ১০ বছর করা হয়।’
এর আগে, গত বছরের ১১ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে আপিলের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের সাজা স্থগিত করে আপিল বিভাগ। পরে খালেদা জিয়া আপিল করেন।
দুদকের করা এই মামলায় ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিচারিক আদালত খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দেয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। একই সাথে সাজা বাড়াতে আবেদন করে দুদক। তবে খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে ৫ বছর থেকে তার সাজা ১০ বছর বাড়িয়ে রায় দেয় হাইকোর্ট।