সিলেটে আমরা বিএনপি পরিবার’র আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে জামায়াত ইসলামীর ভূমিকা কী ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
সিলেট মহানগরীর হুমায়ুন রশীদ চত্ত্বর সংলগ্ন স্থানে আমরা বিএনপি পরিবারের উদ্যোগে যুব এশিয়া কাপ বিজয়ী খেলোয়াড় ইমরান হোসেন ইমনের পরিবারকে শুভেচ্ছা উপহার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
জামায়াতে ইসলামীর প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, একটি ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দলকে বলতে চাই, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আপনাদের ভূমিকা কী ছিল? আপনারা কোন কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন? আপনারা কোন সেক্টর কমান্ডারের অধীনে যুদ্ধ করেছেন? বাংলাদেশে কেউ আর দেশপ্রেমিক নেই? একটি রাজনৈতিক দল দেশপ্রেমিক- এই ধরনের বিভ্রান্তি আপনারা তৈরি করলে বাংলাদেশের মানুষ হাসবে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা ভয়ংকর নির্যাতনকে মেনে নিয়ে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার জন্য রাজপথে লড়াই করেছি। তারপরও আমরা পিছপা হইনি। সাড়ে ১৫ বছর নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করে আন্দোলন করার ফলে জুলাই বিপ্লবে হাসিনার পতন হয়েছে। আমাদের নেত্রীকে কারাগারে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। সাড়ে ১৫ বছর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফলেই জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে।
ইলিয়াস আলী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের পক্ষে অবস্থান নিয়ে টিপাইমুখ অভিমুখে লংমার্চ করার কারণে হাসিনা তাকে নিরুদ্দেশ করে দিয়েছে। জুলাই-আগস্ট হত্যাকান্ডের বিচার এক বছরের মধ্য হবে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে এম ইলিয়াস আলীকে যারা গুম করেছে তাদের বিচার কি হবে না? যারা বিগত সাড়ে ১৫ বছরে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলাকালে মানুষকে হত্যা করেছে তাদের বিচার কি হবে না?
পাঠ্যপুস্তক সম্পর্কে রিজভী জানান, কয়েকজন জাতীয় নেতৃবৃন্দের নামে পাঠ্যবইয়ে অধ্যায় করা হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত একটি অধ্যায় রাখলে ভালো হতো। পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের অধ্যায় রাখলে তা পূর্ণতা পেত।