ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’তে যোগ দিতে খুলনা থেকে আসা গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বাগেরহাট মোল্লারহাট উপজেলায় মাদ্রাসাঘাটে গোপালগঞ্জের প্রবেশমুখে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বাগেরহাট মোল্লারহাট উপজেলায় মাদ্রাসাঘাটে গোপালগঞ্জের প্রবেশ মুখে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন।
জানা যায়, সকালে খুলনা মহানগর থেকে শিক্ষার্থীদের বহনকারী ২৫টি বাস ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। বাগেরহাটের মোল্লাহাট মাদ্রাসাঘাট এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা গাড়ি লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং গাড়ি থামিয়ে কয়েকজনকে মারধর করে। পরে শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে মূহুর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী কাজ করছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোল্লাহাট অতিক্রম করার সময় আগে থেকে প্রস্তুত হয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। স্থানীয়রা তাদের সহযোগিতা করে বলেও অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। থানার সামনে ঘটনা হওয়া স্বত্বেও এ সময় পুলিশ নিরব ভূমিকায় ছিলো বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন খুলনার সমন্বয়ক জহুরুল তানভীর বলেন, খুলনা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের বহর ঢাকায় যাচ্ছিলো। পথে আমাদের ওপর হামলা করে। অনেকে আহত হয়েছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসররা এই আক্রমণ করেছে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম, নাটোর, রাজশাহী, সিলেট, পঞ্চগড়, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ছাত্র-জনতাও সকাল থেকে শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থান নেন।
৩০ ডিসেম্বর রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে জুলাই ঘোষণাপত্রের ব্যাপারে কথা বলেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
তারা জানান, এ সমাবেশ থেকে ঘোষণাপত্র পড়ার কথা থাকলেও সেটি রাষ্ট্রীয়ভাবে করার কথা জানানোয় সাধুবাদ জানিয়ে আজকেই পাঠ না করার কথা জানিয়েছে সংগঠনটি।
এরপর বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচির ঘোষণ দেন।