বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের যেসব মামলায় গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তাতে তাদের বিচার করে শাস্তির আওতায় আনা কঠিন হতে পারে বলে মত দিচ্ছেন আইনজীবীরা।

হত্যা মামলায় সালমান-আনিসুল হকদের বিরুদ্ধে কতটা জোরালো অভিযোগ আনা যাবে
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনকালে এসব মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ-পাচার, আর্থিক খাতে কেলেঙ্কারির যেসব অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে উঠেছে, হত্যা মামলার পাশাপাশি সুনির্দিষ্টভাবে সেগুলোর বিচারও করতে হবে।
বিভিন্ন থানার হত্যা মামলায় এসব আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কিন্তু এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামাদের।
আইনজীবীরা বলছেন, যেসব ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে এগুলোতে সুনির্দিষ্টভাবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। একইসাথে এসব হত্যা মামলায় আসামি অজ্ঞাতনামা দেখানো হয়েছে।
ফলে এসব মামলায় তাদের বিচার করে শাস্তির আওতায় আনা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়তে পারে।
তবে, যদি থানায় করা এসব মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার তদন্ত শেষে চার্জশিটে হত্যার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবেও আসামিদের নাম উঠে আসে সেক্ষেত্রে বিচার সুনিশ্চিত হবে। তাই এতে তদন্ত যথাযথ হতে হবে।
