আগামী বছরের ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ভুল আছে তাদেরকে জরুরিভিত্তিতে আগামী ২ জানুয়ারির আগেই সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভুল সংশোধন করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ভুল আছে, তাদেরকে জরুরি ভিত্তিতে আগামী ২ জানুয়ারির আগেই সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভুল সংশোধন করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
এদিকে গত ২ ডিসেম্বর এ এম এম নাসির উদ্দীন নেতৃত্বাধীন ইসির প্রথম কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ বছর হালনাগাদ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে। ১ জানুয়ারি যারা ভোটারযোগ্য হবে সে সব তথ্য সংগ্রহ করে ২ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ হবে। দাবি, আপত্তি ও নিষ্পত্তি শেষে মার্চের ২ তারিখ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রথম কমিশন সভা শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, বাদ পড়া ভোটারদের তালিকাভুক্ত করতে এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে নির্বাচন কমিশন।
মো. সানাউল্লাহ বলেন, নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের কাছে ১৭ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহে রয়েছে। এসব নাগরিক আগামী ১ জানুয়ারি ভোটার তালিকায় যুক্ত হবে। এই ১৭ লাখ নাগরিকের মধ্যে ১৩ লাখের তথ্য নির্বাচন কমিশন ২০২২ সালে সংগ্রহ করেছিল। বাকি নাগরিকরা নিজেরা নিবন্ধিত হয়েছেন। তবে পরিসংখ্যান বলে ৪৫ লাখের মতো নাগরিকের নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হওয়ার কথা। সেই হিসাবে ২৭-২৮ লাখ নাগরিক নিবন্ধিত হননি। কিন্তু তারা ভোটার হওয়ার যোগ্য। এ কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি— নতুন বছরের হালনাগাদ ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এরপর আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করব। প্রতি বছর ১ জানুয়ারিতে ১৮ বছর পূর্ণ হয় বা ভোটার হওয়ার উপযুক্ত হয় তাদেরকেও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। একইসঙ্গে যেসব ভোটার মৃত্যুবরণ করেছে— তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য তথ্য নেওয়া হবে। এ ছাড়া দ্বৈত ভোটার বা অন্য কোনো জটিলতা আছে কি না, সে বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধ এবং পূর্ণাঙ্গ তথ্যের ভিত্তিতে শতভাগ সঠিকতা নিশ্চিত করতে পারব।