নাটোরে ছিনতাইকালে ৫ নারী ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ছিনতাইকারী সকলেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা। তারা একটি ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য বলে জানায় পুলিশ।
বিকেলে গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার ছিনতাইকারীরা হলো— ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার নতুন বাজার গ্রামের কাউসার রহমানের স্ত্রী পারুল বেগম, সফর উদ্দিনের স্ত্রী নাইমা বেগম, এরশাদ আলীর স্ত্রী মাফিয়া বেগম, জাকির হোসেনের স্ত্রী সোমা বেগম এবং আশরাফ উদ্দিনের স্ত্রী লাভলি বেগম।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান জানান, শহরের বড়গাছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাজনাজ খানম শহরের কানাইখালী এলাকা থেকে অটোরিকশায় চড়ে কালেক্টরেট স্কুলে যাচ্ছিলেন। পথে পাঁচ জন নারী ওই অটোরিকশায় উঠে। অটোরিকশাটি মাদ্রাসা মোড়ে পৌঁছালে একজন মহিলা অসুস্থতা বোধ করছে বলে শিক্ষিকার ঘাড়ে ও মাথায় হাত রাখে। এরপর শিক্ষিকার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন খুলে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং অন্য সহযাত্রীরা ভ্যানিটি ব্যাগ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
ওসি আরও জানান, এসময় ওই শিক্ষিকা চিৎকার করলে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশসহ স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে ঘটনাটি জানতে পারে। পরে ট্রাফিক পুলিশ ছিনতাইকারীদের আটকে রেখে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করে।
মাহাবুবুর রহমান আরও জানান, এ ঘটনায় শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করলে ছিনতাইকারীদের আদালতে পাঠানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ছিনতাইকারীরা স্বীকার করেছে তারা ছিনতাই চক্রের সদস্য। সারা দেশেই এভাবে ছিনতাই করে তারা।
