চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে লিয়াকত আলী খান নামের এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা না বলেই তার বরাত দিয়ে মন্তব্য ছাপানো হয়েছে বলে দাবি করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সিএমপি। এই বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের আদালতে সংঘর্ষ ও এক আইনজীবীকে হত্যার বিষয়ে রয়টার্স বা কোনো সাংবাদিক উপ–পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) লিয়াকত আলী খানের সঙ্গে কথা বলেননি। লিয়াকত নামে চট্টগ্রামে চারজন কনস্টেবল আছেন। তাঁরাও কাউকে কোনো বক্তব্য দেননি। মনগড়া বক্তব্যকে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য বলে চালিয়ে দিয়েছে রয়টার্স।
সিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানায় ৩১ অক্টোবর দায়ের করা মামলার (নং-৫২) এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি সনাতন জাগরণ মঞ্চের নেতা চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তার ও জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশের উদ্ভূত পরিস্থিতির ওপর বিদেশি সংবাদমাধ্যম রয়টার্সে গত ২৭ নভেম্বর বেলা ১২: ২৭ পিএম (জিএমটি+৬) সময়ে প্রকাশিত ‘ওয়ান কিলড ইন বাংলাদেশ অ্যাজ হিন্দু প্রোটেস্টার্স ক্লাশ উইথ পুলিশ’ (One Killed in Bangladesh as Hindu protesters clash with police) শিরোনামে একটি প্রতিবেদন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের নজরে এসেছে।
রিপোর্টটি পরবর্তীতে ভয়েস অব আমেরিকাসহ আরও অনেক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। রিপোর্টটিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ–পুলিশ কমিশনার লিয়াকত আলী খানকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, ‘এ মুসলিম লইয়ার ডিফেন্ডিং দাস ওয়াজ কিলড অ্যামিড প্রোটেস্টস আউটসাইড দ্য কোর্ট (ইন চিটাগং) (A Muslim lawyer defending Das was killed amid protests outside the court [in Chittagong, said police officer Liaquat Ali.])
রয়টার্স বা কোনো সাংবাদিক এই বিষয়ে উপ–পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) লিয়াকত আলী খানের সঙ্গে কথা বলেননি। ঘটনার সময়ে তিনি আদালত প্রাঙ্গণসহ আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজে দায়িত্বরত ছিলেন। লিয়াকত নামে চট্টগ্রামে চারজন কনস্টেবল আছেন। তাঁরাও কাউকে কোনো বক্তব্য দেননি। কারও বক্তব্য গ্রহণ না করেই নিজেদের মনগড়া বক্তব্যকে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য বলে চালিয়ে দেওয়া সাংবাদিকতার নীতিমালা পরিপন্থী।
ভবিষ্যতে রয়টার্স ও সব গণমাধ্যম এই ধরনের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়েছে সিএমপি।
উল্লেখ্য, রয়টার্সের প্রতিবেদনটি পরে সংশোধন করা হয়েছে। সেখানে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য বাদ দেওয়া হয়েছে।
