নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, ১৮ বছর ধরে ভোটাধিকারের জন্য ‘যুদ্ধ’ করার মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের ‘শহীদ ও আহতদের’ রক্তের সঙ্গে নতুন নির্বাচন কমিশন বেঈমানী করবে না। সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে। পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ভার থাকবে এ কমিশনের ওপর।
এ কমিশনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে থাকছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরারপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে প্রধান বিচারপতির কাছে শপথ নেবেন নতুন এই কমিশনের সদস্যরা।
৭১ বছর বয়সী নাসির উদ্দীন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে বলেন, সব আনুষ্ঠানিকতা সেরে অফিসিয়াল রিয়েকশন দেওয়া যাবে। এ দায়িত্ব যখন এসেছে, আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা নিয়ে। পার্টিকুলারলি, বিশাল একটা অভ্যুত্থানের পরে এত প্রাণহানি, রক্ত দেওয়ার পরে… এত লোক পঙ্গু হল, আহত হল; এরপর তারা ভোটের অধিকারের জন্য এতদিন ধরে, ১৮ বছর ধরে যুদ্ধ করছে। তাদের রক্তের সাথে তো আমরা বেঈমানী করতে পারব না।
আরও পড়ুন— নতুন সিইসি সাবেক সচিব নাসির উদ্দীন
অবাধ নির্বাচনের জন্য সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেন নাসির উদ্দীন, যিনি অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
তিনি বলেন, একটা ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল ইলেকশনের জন্য যা যা করা দরকার, আমরা তা করব ইনশাআল্লাহ।
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার সন্তান নাসির উদ্দিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর করেন। এরপর ১৯৭৭ সালে কর্মজীবন শুরু করেন শিক্ষক হিসেবে।
দুই বছর পর তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। প্রশাসন ক্যাডারের এ ব্যাচটি বিসিএস ৭৯ ব্যাচ হিসেবে পরিচিত।
দীর্ঘ কর্মজীবনে তথ্য সচিব, জ্বালানি সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।