জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রংপুরে পুলিশের গুলিতে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে শুনানি শেষে রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মো. আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এর আগে, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর আলমনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআই রংপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) জাকির হোসেন জানান, আবু সাঈদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পুলিশকে গুলি করতে নির্দেশনা দেয়ার অভিযোগ আছে।
পিবিআই এসপি আরও জানান, গত ১৮ আগস্ট পুলিশের সাবেক আইজিপিসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩০ থেকে ৩৫ জনের অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামসহ সাতজনের নাম মামলায় নথিভুক্ত করার জন্য সম্পূরক এজাহার দায়ের করেন রমজান আলী। আদালতের আদেশে তাদেরও ওই মামলায় নামীয় এজহারভুক্ত আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এর আগে, আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বরখাস্ত হওয়া সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে এই মামলার আসামি সাবেক আইজিপিকে ঢাকায় গ্রেফতার করা হয়।
গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শরিফুল ইসলাম।
আবু সাঈদ হত্যা মামলার আইনজীবী রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আইনজীবী আরও বলেন, গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন আবু সাঈদ। সেই দিনের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, উস্কানিদাতাদের একজন তৎকালীন প্রক্টর শরিফুল ইসলাম। বিষয়টি আদালতে তুলে ধরা হয়েছে। শুনানি শেষে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদন জানান।
