সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ২১১ জন। এই নিয়ে চলতি মাসের ১২ দিনে ডেঙ্গুতে মোট ৭০ জনের মৃত্যু এবং ১২ হাজার ৯৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩৬৭ জনের এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৪ হাজার ৮০০ জন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য থেকে এসব জানা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৯৮০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ভর্তি আছেন ১ হাজার ৮৩৮ জন, বাকি ২ হাজার ১৪২ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, অক্টোবর মাসে মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩০ হাজার ৮৭৯ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছিল ১৩৪ জনের। আর সেপ্টেম্বর মাসে মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৮ হাজার ৯৭ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছিল ৮০ জনের। আর তার আগের মাস আগস্টে মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬ হাজার ৫২১ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছিল ২৭ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৮ জন, চট্রগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৯১ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২২১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৯০ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩ জন , রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৭ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৮ জন এবং সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
অধিদফতরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ৬১৯ জন। আর এ বছরে ডেঙ্গুতে মোট ৭০ হাজার ৪৫৩ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এছাড়া এ বছরে ডেঙ্গুতে মোট ৩৬ হাজার ৭১১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ৫৫ জন, যাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৩৩৯ জন, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১১ জন; যাদের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এপ্রিল মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫০৪ জন, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। মে মাসে ৬৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। জুন মাসে ৭৯৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের এবং জুলাই মাসে ২৬৬৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়, তাদের মধ্যে মৃত্যু হয় ১২ জনের।
