দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ৬ মাসের কম সময়ের মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত করা হলো হাইতির অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনিলকে। দেশটির ক্ষমতাসীন ট্রানজিশনাল প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিল (টিপিসি) তাকে বরখাস্ত করে। রয়টার্সের
সোমবার (১১ নভেম্বর) কাউন্সিলের ৯ সদস্যের ৮ জনের স্বাক্ষরিত এক নির্বাহী আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
নির্বাহী ঐ আদেশে গ্যারি কনিলের স্থলাভিষিক্ত করতে এক ব্যবসায়ী এবং হাইতির সাবেক সিনেট প্রার্থী অ্যালিক্স দিদিয়ার ফিলস এইমির নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে, হাইতির চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
এদিকে, সদ্য বরখাস্ত প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনিলের দাবি, অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে তাকে।
উল্লেখ্য, গ্যাং সহিংসতাসহ নানা কারণে ক্যারিবিয়ান দেশটিতে ২০১৬ সালের পর কোনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
ফলে বর্তমানে কোনো পার্লামেন্টও নেই হাইতিতে।
দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, কেবল পার্লামেন্টই ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে পারে।
চলতি বছরের ৩ জুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন গ্যারি কনিল।
কনিল জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তা। হাইতিতে গ্যাং-নেতৃত্বাধীন চলমান নিরাপত্তা সংকটের মধ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছিল, তিনি ২০১৬ সালের পর হাইতিতে প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজনের পথ প্রশস্ত করবেন।
কনিলের পূর্বসূরি অ্যারিয়েল হ্যানরি সশস্ত্র গোষ্ঠীদের একটি নেটওয়ার্কের হাতে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গত এপ্রিলে হাইতির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিল (টিপিসি) গড়ে ওঠে।
হ্যানরি ২০২৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি গায়ানায় একটি শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে হাইতি ত্যাগ করেন। এরপর গ্যাং সদস্যরা তাকে দেশে ঢুকতে বাধা দেওয়ার জন্য শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দখল নেয়।
তারা হেনরিকে দেশে ফিরতে দেয়নি। গোলযোগপূর্ণ হাইতিতে টিপিসি-কে গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
হাইতিকে বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ হিসেবে বর্ণনা করা জাতিসংঘের মতে, জানুয়ারি থেকে হাইতিতে ৩ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং ৫ লাখেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০ লাখ হাইতিবাসী বর্তমানে জরুরি খাদ্য সংকটে পড়েছেন।