অনিয়মের অভিযোগে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি’র ৪৩ লাখ ফ্যামিলি কার্ড বাতিল হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির।
শনিবার (৯ নভেম্বর) তেঁজগাওয়ে টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির জানান, হাতে লেখা কার্ডগুলোকে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডে রূপান্তর করতে গিয়ে এনআইডি যাচাইকালে এসব কার্ড বাদ পড়ে যায়। তবে নানা জটিলতায় সব কার্ড স্মার্ট কার্ডে রূপান্তর করা সম্ভব হয়নি। তাই এখনও আগের হাতের লেখা কার্ডেই টিসিবির পণ্য বিতরণ করতে হচ্ছে।
হুমায়ূন কবির জানান, এক কোটি হাতে লেখা কার্ড যখন এনআইডি’র সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন করা হয়েছে— তখন দেখা গেছে, একই এনআইডি দিয়ে ঢাকায় একবার কার্ড নিয়েছে, আবার নিজের গ্রামের বাড়িতে হয়তো আরেকটা কার্ড করেছে। যার ফলে যখন আমরা এনআআইডি দিয়ে যাচাই করতে গেলাম তখন ৪৩ লাখ কার্ড বাদ পড়ে গেছে।
তিনি জানান, এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যে একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি পণ্য পাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন বা জনপ্রনিধিরা না থাকায় ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য ঠিক মতো পৌছাচ্ছে কিনা তাও সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছে না।
হুমায়ূন কবির বলেন, ‘ফ্যামিলি কার্ডের এসব সমস্যা দূর করার জন্য একটি পরিবার যাতে একটি কার্ডের বেশি না পায়, সেজন্য আমরা স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড করার উদ্যোগ নিয়েছি। এখনও পর্যন্ত ৫৭ লাখ স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড হয়েছে। বাকি কার্ডগুলো করার জন্য আমরা জেলা প্রশাসন এবং সিটি করপোরেশনকে চার দফা চিঠি দিয়েছি। সাম্প্রতিক সময়ে জেলা প্রশাসনে যে রদবদল হচ্ছে— সেজন্য তাদের পক্ষ থেকে এই তথ্যগুলো না পাওয়ার কারণে বাকি কার্ডগুলো আমরা এখনও শনাক্ত করতে পারিনি।’
আসন্ন নতুন বছরের জানুয়ারি প্রথম দিন থেকে স্মার্ট কার্ডে পণ্য দেওয়া হবে। একই সঙ্গে আসন্ন রমজানে টিসিবি পণ্যের মধ্যে প্রতি বছরের ন্যায় খেজুর ও ছোলা দেওয়া হবে। জানুয়ারির মধ্যে এসব পণ্য গুদামে চলে আসবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, রমজানে টিসিবির ৫টি পণ্য— তেল, চিনি, ছোলা, খেজুর, ডাল বিক্রি করা হবে। আর সিটি করপোরেশনের বাইরে খেজুর বাদে ৪টি পণ্য বিক্রি হবে। কার্ডের বাইরেও ট্রাকে করে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে মোট ৭০টি পয়েন্টে ২৪ হাজারের বেশি মানুষ পণ্য কিনতে পারবে। প্রতি ট্রাকে ৩৫০ জনের উপযোগী পণ্য দেওয়া হচ্ছে।