গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, চীনের দুঃখ হুয়াংহো নদী আর নোয়াখালীর দুঃখ নোয়াখালী খাল। চীনের দুঃখ শেষ হয়েছে, কিন্তু নোয়াখালীর নদী ভাঙন, বন্যায় পানি আটকে যাওয়ার দুঃখ শেষ হয়নি।
শনিবার (০২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর হরিনারায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে তারুণ্যের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন- ২০১৯ সালে ৩২৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল খাল পুনরায় খননের জন্য। কিন্তু লুটপাটকারীরা সেই টাকা শুধু লুটপাট করেছে, কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
ভিপি নুর আরও বলেন, গণঅধিকার পরিষদের জন্ম হয়েছে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে। আমাদেরকে ভয় দেখাতে আসবেন না। এক লুটেরা গিয়েছে আরেক লুটেরা ক্ষমতায় আসলে সবার ক্ষতি হবে। আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে লুটেরাদের নেতৃত্ব চান নাকি তারুণ্যের নেতৃত্ব চান।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরেও আমরা রাজনৈতিক অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে পারিনি। ৯০ এর সামরিক শাসনের পতনের পরেও আমরা গণতন্ত্র পেলেও জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারিনি। ২০২৪ এ আবার একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে নতুন একটি সুযোগ পেয়েছি। তাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমরা আগামীর বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। সবাইকে নিয়ে একটা গণতান্ত্রিক অন্তর্ভুক্তিমূলক বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে চাই। যেখানে মারামারি হানাহানি থাকবে না। যেখানে থাকবে সহনশীলতা এবং সম্প্রীতির রাজনীতি। যেখানে রাজনীতির মাধ্যমে জনপদ হবে শান্তির জনপদ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, নোয়াখালীর অভিশাপ ওবায়দুল কাদের। তার কোনো ক্ষমা হতে পারে না। আওয়ামী লীগ রাজনীতির সৌন্দর্য নষ্ট করেছে। তাদের কোনো ক্ষমা নেই। নোয়াখালীতে কাউয়া কাদেরের কোনো ঠাঁই নেই।
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উচ্চতর পরিষদের সদস্য আব্দুজ জাহেরের সভাপতিত্বে ছাত্র জনতার আত্মত্যাগকে ধারণ করে, দুর্নীতি দুঃশাসন মুক্ত বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক দেশ গড়ার লক্ষ্যে তারুণ্যের গণসমাবেশে কেন্দ্রীয় ও জেলা গণঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
