নেপালকে হারিয়ে আবারও উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতল বাংলাদেশ।
কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে বুধবারের ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ।
২০২২ সালে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়েই বাংলাদেশের মেয়েরা প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব পেয়েছিল। আবারও সেই একই প্রতিপক্ষ এবং একই ভেন্যুতে সাবিনা খাতুনের দল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতলো। দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে দিয়ে সাফের ফাইনালে তারা নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে।
ভারত ম্যাচে লাল কার্ড দেখা রেখা পোডেলকে ফাইনালে পায়নি নেপাল। ৭ গোল করা এই ফরোয়ার্ডের অনুপস্থিতিতে আক্রমণভাগের দায়িত্ব ওঠে সাবিত্রা ভান্ডারির কাঁধে। তবে প্রথমার্ধে ফরাসি লিগে খেলা এই তারকাকে কড়া পাহারায় রেখেছেন আফিদা খন্দকার ও শিউলি আজিম।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশ-নেপালের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য সমতায়। গোলের জন্য মরিয়া দুই দলই বিরতির পর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ জমিয়ে তোলে। তারই ধারাবাহিকতায় ৫১তম মিনিটে বাংলাদেশের হয়ে লিড নেন মনিকা চাকমা। সংঘবদ্ধ আক্রমণে তহুরা-সাবিনা খাতুন বল দেওয়া-নেওয়া করছিলেন বক্সের সামনে। জটলার মধ্যে বল পান মনিকা। সেখান থেকে তিনি প্লেসিংয়ে গোল করেন।
তবে সেটি টিকেছে কেবল ৩ মিনিট। আমিশা কার্কির গোলে স্বাগতিক নেপালও সমতায় ফেরে। মধ্যমাঠ থেকে দারুণ থ্রু পাস ঠেলেন সতীর্থ আমিশাকে। সেখানে বাংলাদেশের ডিফেন্স পরাস্ত হয়। আগুয়ান গোলরক্ষক রুপ্না চাকমাকে পরাস্ত করেন আমিশা। ১-১ সমতা নিয়ে জমে উঠেছে সাফের ফাইনাল। স্বাগতিক প্রায় ২০ হাজার দর্শকের শোরগোল সেই রোমাঞ্চ আরও বাড়িয়ে তোলে।
মাঝমাঠে আলো ছড়ানো মনিকাকে কড়া ট্যাকল করায় আমিতা জাইসিকে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। ২৮তম মিনিটে সাবিত্রার থ্রু পাস দূরের পোস্টে ফাঁকায় পেলেও শট নিতে দেরি করেন আমিশা। শিউলি ছুটে গিয়ে বিপদমুক্ত করেন দলকে। দুই মিনিট পর গোলরক্ষক আঞ্জিলা পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে ফিস্ট করলে বল চলে যায় মনিকার পায়ে। তাড়াহুড়ো করে নেওয়া এই মিডফিল্ডারের শট ক্রসবারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। হতাশায় মুখ লুকান মনিকা।দিগন্ত নিউজ/নয়ন