Dianta-News-PNG
ঢাকা সোমবার- ২০শে জানুয়ারি ২০২৫, ৬ই মাঘ ১৪৩১, ১৯শে রজব ১৪৪৬ বিকাল ৫:২৯

ঢাকায় হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়

দিগন্ত নিউজঃ
অক্টোবর ৩০, ২০২৪ ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের একটা কার্যালয় চালু হবে। এটি চালু হলে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে ক্ষেত্রগুলো, মানবাধিকার পরিষদ সেগুলো সরাসরি তদন্ত করতে পারবে।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার টুর্কের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টার বৈঠকের পর এ তথ্য জানান সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকার একটি হোটেলে ওই বৈঠক শেষে শারমিন মুরশিদ সাংবাদিকদের বলেন, “একটা খুব বড় সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের একটা কার্যালয় চালু হবে। অফিসটা চালু হলে যে সুবিধাটা আমাদের সবচেয়ে বেশি, সেটা হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে ক্ষেত্রগুলো, ওরা সরাসরি তদন্ত করতে পারবে।”

শারমিন মুরশিদ বলেন, ‘ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস খোলার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় বিষয়টি ইতিবাচক দেখছে সরকার।’

শিগগিরই এই কার্যালয় হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে কার্যালয় (মানবাধিকার পরিষদ) থাকা মানে মানবাধিকারের জায়গা থেকে আমাদের শক্তি বাড়ল।’

এর আগে সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভলকার টুর্ক।

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে দু’দিনের সফরে মঙ্গলবার ভোরে ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার টুর্ক।

প্রথম দিনে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্যের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আয়োজনে যোগ দেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তার।

ঢাকায় মানবাধিকার পরিষদের কার্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে রাজনৈতিক প্রভাবের ঊর্ধ্বে উঠে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ।

তিনি বলেন, “ওরা তদন্ত করলে, আমাদের যে রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় আসেন, চলে যান, তারা যদি নিজেদের অপরাধের তদন্ত করে, সে তদন্ত তো হয় না। আমরা নাগরিক সমাজ থেকে যখন তদন্ত করি অথবা সত্যটা যখন তুলে ধরি, তখন আমাদের ওপর নির্যাতন আসে এবং আমার নানা চাপের ভেতরে থাকি। এবং সেই কথাগুলো ব্যক্ত করা যায় না, রিপোর্টও করা যায় না।”

বৈঠকে আলোচনার অন্যান্য বিষয়বস্তু সম্পর্কে তিনি বলেন, “ওরা যেটা জানতে চাইল আামাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে, সেটা হচ্ছে যে, আমরা আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো কী দেখছি এবং আমরা কীভাবে বর্তমান অবস্থাটা দেখছি। এবং আমরা প্রত্যেকে যার যার ক্ষেত্র থেকে আমরা বলেছি, চ্যালেঞ্জগুলো কী এবং কোথায় তারা আমাদের পাশে দাঁড়াতে পারে। এটাই হচ্ছে মূল কথা।”

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে সপ্তদশ দেশ হিসেবে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের এমন কার্যালয় হতে যাচ্ছে।

বর্তমানে বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, চাদ, কলম্বিয়া, গুয়াতেমালা, গিনি, হন্ডুরাস, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মেক্সিকো, নাইজার, ফিলিস্তিন ও সিরিয়া সহ ১৬টি দেশে মানবাধিকার পরিষদের এ ধরনের কার্যালয় রয়েছে।

এ ধরনের কার্যালয়ের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে মানবাধিকার কমিশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়, “কান্ট্রি অফিস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে মানবাধিকার সুরক্ষা ও প্রসারে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে দেনদরবার করে থাকে জাতিসংঘ।”

এ ম্যান্ডেটের মধ্যে সাধারণত মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ, সুরক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার, নাগরিক সমাজ, ভিকটিম এবং অন্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা ও কারিগরি সহায়তা থাকার কথা বলছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ।

দিগন্ত নিউজ/নয়ন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল দিগন্তনিউজ.কম ’এ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি- আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন Gmail Icon ঠিকানায়।
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • আপনার এলাকার খবর খুঁজুন

    খুঁজুন
  • Design & Developed by: BD IT HOST