ভূমিধস বিজয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তাবিথ আউয়াল। ১২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তাবিথ আউয়াল। তাঁর বিপক্ষে সভাপতি পদে নির্বাচন করা একমাত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরী।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকার হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে সকাল থেকে শুরু হয় বার্ষিক সাধারণ সভা। তা শেষে দুপুর ২টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। যা শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়।
এই নির্বাচনে বাফুফের ১৩৩ জন কাউন্সিলরের মধ্যে পাঁচ জন ভোট দেননি। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন তরফদার রুহুল আমিন, যিনি সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে মনোনয়ন নেন সিনিয়র সহ-সভাপতি পদের। শেষমেশ এই পদ থেকে নিজে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। যার ফলে এ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন ইমরুল হাসান।
১২৮ ভোটারের মধ্যে ৫ জন ভোট দেননি তাবিথ আউয়ালকে। এ পাঁচটি ভোট গেছে তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমানের ব্যালটে। বাকি ১২৩টি ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হলেন তাবিথ, যিনি গেল বাফুফে নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করে টাইব্রেকারে হেরেছিলেন।
তাবিথ আউয়াল আগামী চার বছরের জন্য বাফুফের সভাপতি থাকবেন। নির্বাহী কমিটির ২১ পদের মধ্যে ২০টির বিপরীতে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ৪৬ জন প্রার্থী। সভাপতি পদের ২ জন ছাড়াও ৪ সহসভাপতি পদে ৬ জন ও ১৫টি সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন ৩৭ জন।
এ নির্বাচন বাফুফেতে কাজী সালাউদ্দিন যুগের ইতি টেনে দিল। টানা ১৬ বছর বাফুফের সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশের কিংবদন্তি ফুটবলার সালাহউদ্দিন। কিন্তু এবার তিনি নির্বাচনেই দাঁড়াননি। ফলে এবারের নির্বাচনের সবার দৃষ্টি ছিল সভাপতি পদের দিকেই। লড়াইয়ে ছিলেন তাবিথ আউয়াল ও মিজানুর রহমান চৌধুরী। তাবিথ সাবেক ফুটবলার, তিনি সালাহউদ্দিনের সময় একাধিকবার বাফুফের সহসভাপতি ছিলেন। মিজানুর রহমান দিনাজপুর জেলার ফুটবল সংগঠক। সভাপতি পদে তাঁর নির্বাচন করাটাই ছিল চমক। এই পদের জন্য আরও দুজন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও পরে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।