টাকা না পেয়ে চাঁদপুর সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ঘেরাও করে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে গ্রাহকরা। এদিকে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হলে নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্স ভবনে টাকার জন্য চেক নিয়ে গ্রাহকরা জড়ো হোন। এসময় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা লেনদেন বন্ধ রাখলে উত্তেজিত গ্রাহকরা প্রবেশ গেটে তালা লাগিয়ে দেন।
জানা গেছে, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড চাঁদপুর জেলা শাখার গ্রাহক সংখ্যা ২২ হাজার। বর্তমানে ১০০ গ্রাহকের টাকাও দিতে পারছে ব্যাংকটি। এছাড়া জেলার বিভিন্ন শাখায় টাকা সংকটের কারণে চাহিদা অনুযায়ী টাকা পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন গ্রাহকরা।
আরও পড়ুন— রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পল্লী বিদ্যুতের ৬ কর্মকর্তা রিমান্ডে
সরকার পতনের পর থেকে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের টাকা লেনদেনে জটিলতা শুরু হয়। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও স্বাভাবিক হয়নি ব্যাংক লেনদেন।
গ্রাহক ইয়াকিন খান ও শাহনাজ বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে ব্যাংকে এসে টাকা নিতে পারছি না। ব্যাংকে আসলে তারা বলে সামনের সপ্তাহে আসেন ঠিক হয়ে যাবে। আজকে এসে দেখি কোনো টাকা দিচ্ছে না। সব গ্রাহকরা জড়ো হয়ে গেটে তালা দিয়েছে। আমরা আমাদের টাকা চাই।
ব্যাংকের ম্যানেজার মো. মাহবুব আলম বলেন, রোব ও সোমবার লেনদেন চালু ছিলো। ওইদিন গ্রাহকদের সাধ্যমত টাকা দিতে পারিনি। আজ ব্যাংকের পুরোপুরি লেনদেন বন্ধ রাখা হয়। যার কারণে গ্রাহকরাটা ক্ষিপ্ত হয়ে বাইরে দিয়ে তালা মেরে দেয়। আমরা প্রধান কার্যালয়ে কথা বলেছি ওনারা ২০ লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আশাকরি টাকাগুলো আসলে গ্রাহকদের ৫-১০ হাজার টাকা করে দিতে পারব। আমি গ্রাহকদের বলবো, আপনারা একটু ধৈর্য ধরুন। ধৈর্য ধরলে ব্যাংক অবশ্যই আগের মত দাঁড়িয়ে যাবে। ব্যাংকের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুদিন সময় দিতে হবে।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, ব্যাংকের ম্যানেজার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে কিছু টাকা আনার ব্যবস্থা করেছি। আশাকরছি যে টাকা আসবে তা দিয়ে গ্রাহকদের আপাতত সন্তুষ্ট করা যাবে।