কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. এ কে এম জাকির হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার ব্যানারে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ সাগর, আব্দুল আজিজ নাহিদ, শিপন সরকার, আলম, আব্দুর রাজ্জাক রাজ, রাগিব পাটোয়ারী, খন্দকার আল ইমরান, মাহমুদুল হাসান লিমন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘ভিসি জাকির হোসেন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত, আওয়ামী লীগের একাধিক পদধারী এবং দুর্নীতিগ্রস্ত। তিনি ছাত্র জনতার অর্জিত ২য় স্বাধীনতার পরও পলাতক আওয়ামী দোসরদের সহযোগিতা নিয়ে প্রশাসন পরিচালনা করছেন। দ্বিতীয় স্বাধীনতার সুফল ধরে রাখতে ভিসি জাকির হোসেনের পদত্যাগ জরুরি।’
পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়ে তাঁরা বলেন, ‘আগামী ২৫ অক্টোবরের মধ্যে ভিসিকে পদত্যাগ করতে হবে। না করলে তাকে জেলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।’
আরও পড়ুন— সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ মাসে নিহত ৫৪৮৫
এ দিকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ভিসি প্রফেসর ড. এ কে এম জাকির হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি বিগত সরকারের সময় নিয়োগ পেয়েছি—এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। কিন্তু দুর্নীতি এবং আওয়ামী লীগের একাধিক পদে থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভিসি পদ থেকে সরে যেতে আমার আপত্তি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টি নতুন। এই মুহূর্তে পদ থেকে সরে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম স্থবির হয়ে যেতে পারে। সরকার নতুন কোনো ভিসি নিয়োগ দিলে আমি দায়িত্ব বুঝে দিয়ে সরে যাব।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রফেসর জাকির বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের কোনো স্তরের কমিটিতে সদস্য পদে নেই। আমি পরিবেশ নিয়ে কাজ করি। দলের বিভিন্ন উপকমিটিতে আমার মতো এমন অনেককে বিশেষজ্ঞ হিসেবে রাখা হয়েছে। কিন্তু আমরা কখনো দলীয় কোনো মিটিংয়েও অংশ নেয়নি। ফলে পদে থাকার অভিযোগটি সঠিক নয়।’
দুর্নীতির অভিযোগ দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করে ভিসি বলেন, ‘আমার সকল কার্যক্রম সকলের জন্য উন্মুক্ত। দুর্নীতির কোনো দাগ আমি আমার ক্যারিয়ারে লাগতে দিইনি, দেবও না।’
উল্লেখ্য, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। কৃষি গুচ্ছের আওতায় প্রথমবারের মতো আগামী ২৫ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ বছর এগ্রিকালচার ও ফিশারিজ অনুষদে ৪০ জন করে মোট ৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।