গত পাঁচ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান কোথায়, তা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে ধোঁয়াশা চলছিল। অবশেষে তিনি কোথায় আছেন জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে দেশটির মুখপাত্র রনধির জয়সওয়াল জানান, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনও ভারতেই রয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানের বিষয়ে আমি আগেই বলেছিলাম যে, তিনি স্বল্প সময়ের নোটিশে এখানে এসেছিলেন এবং তিনি এখানেই রয়েছেন।
নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপাতত দিল্লিতেই থাকবেন বলে জানান রনধির জয়সওয়াল।
আরও পড়ুন— সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সুপারিশ
সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ভিসা কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালু রয়েছে। মেডিক্যাল ও জরুরি ভিসা হাই কমিশন থেকে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এবং আমাদের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করার মতো পরিস্থিতি যদি তৈরি হয়, আমরা তখন তাই করবো।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার অবস্থান সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য এখনও আসেনি। তবে আনঅফিসিয়ালি জানা গেছে তিনি ভারতের দিল্লিতেই রয়েছেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালানোর নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি মেগা প্রজেক্টে মেগা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় বিচারের জন্য তাকে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল থেকে যে ৪০-৪৫ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তারা কোথায় আছে জানার চেষ্টা করছে মন্ত্রণালয়।
