বাজারে সরবরাহ বাড়িয়ে ঊর্ধ্বমুখী দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভোজ্য তেলের পর ডিম ও চিনিতে উল্লেখযোগ্য হারে শুল্ক ছাড় দিয়েছে সরকার। ডিমের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং পরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক প্রতি টন ৬,০০০ থেকে কমিয়ে ৪,৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সরকারের আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ দুই পণ্যে শুল্ক ছাড়ের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ, মু’মেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুল্ক কমানোর এসব তথ্য দিয়েছেন।
একই দিন আলাদা আদেশে ভোজ্য তেলের আমদানি পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ৫ শতাংশ কমানোর পাশাপাশি উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়।
আরও পড়ুন— লরির চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী শিশুসহ নিহত ২
এনবিআর বলছে, শুল্ক কমানোর ফলে আমদানি পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিমের মূল্য ১৩.৮০ টাকা কমবে। অব্যাহতির এ সুবিধা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
আমদানি শুল্ক কমানোর ফলে বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়বে এবং ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের মূল্য কমে সাধারণ ক্রেতার জন্য সহজলভ্য হবে বলে মনে করছে রাজস্ব আদায়কারী সংস্থাটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিম ব্যবহারকারী বিভিন্ন শিল্প যেমন কনফেকশনারি, বেকারি, ডিম নির্ভর খাদ্য উৎপাদক শিল্পের খরচ কমবে এবং বাজারে স্বস্তি ও ভারসাম্য ফিরে আসবে।
এর আগে ৮ অক্টোবর পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছিল।
এখন পরিশোধিত চিনির সরবরাহ আরও বাড়াতে এক সপ্তাহের মধ্যে আবার পরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্কতে ছাড় দেওয়া হলো। এতে চিনির মূল্য সহনশীল পর্যায়ে রাখা সম্ভব হবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।