চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ৯টি সাধারণ ও মাদরাসা এবং কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ। এছাড়া জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী। আর ২০২৩ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী। সে হিসেবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে ৫৩ হাজার ৫৪৬ জন। যেখানে এইচএসসির ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬।
সোমবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার আগে স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ওয়েবসাইটে একযোগে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় সারাদেশে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। সাতটি পরীক্ষার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে তা স্থগিত করা হয়। পরে বাকি পরীক্ষাগুলো নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে তা বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা বিভাগ। পরে বিষয় ম্যাপিংয়ের ভিত্তিতে ফলাফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন— ১৫ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ
শিক্ষার্থীরা ফলাফল এই ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পারবেন। একই ওয়েবসাইটে গিয়ে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের ফল (Result sheet download) সংগ্রহ করা যাবে।
এজন্য ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘রেজাল্ট কর্নারে’ ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ‘EIIN’ এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ‘Result sheet download’ করা যাবে এবং রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে ‘Result sheet download’ করতে পারবে। সেখানে থাকা ফলাফল অপশনে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সাবমিট করলেই শিক্ষার্থীরা তার পুরো রেজাল্ট শিট দেখতে পাবেন।
এ ছাড়া মুঠোফোনের এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। এজন্য মুঠোফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC Board name (first 3 letters) Roll Year টাইপ করে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। উদাহরণ: HSC Dha 123456 2024 লিখে 16222-তে পাঠাতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এবার পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী—আট দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার। এরপর প্রথমে ১১ আগস্ট ও পরে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে আগস্টে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করলে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা বিভাগ। সবশেষ সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
