রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সেনাবাহিনী ও র্যাবের পোশাক পরে ব্যবসায়ীর বাসায় ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ও ডিবি। এর মধ্যে পাঁচজন বিভিন্ন বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্য। বাকীরা সাধারণ নাগরিক।
রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
তিনি বলেন, আমরা আটজনকে গ্রেফতার করেছি। তার মধ্যে পাঁচজন বিভিন্ন বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হওয়া ব্যক্তি। তারা বিমান, সেনা ও নৌবাহিনীতে বিভিন্ন সময় চাকরি করেছেন। কিন্তু তারা বিভিন্ন অপরাধে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন। মোট ১৭ জন এই ডাকাতির কাজে অংশ নিয়েছিল। এখন পর্যন্ত র্যাব ৮ জন ও পুলিশ তিনজনসহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷
তিনি আরও বলেন, পাঁচজন বিভিন্ন বাহিনীর চাকরিচ্যুত তবে তাদের মধ্যে কেউ অফিসার র্যাঙ্কের নন। বিভিন্ন বাহিনীর চাকরিচ্যুত যে পাঁচ সদস্য ডাকাতিতে অংশ নিয়েছিল তাদের বিচার সাধারণ আইনে নয়, ওই সব বাহিনীর বিধি ও নিয়ম অনুযায়ী হবে। এজন্য তাদের ওইসব বাহিনীর সংশ্লিষ্টদের হাতে তুলে দেবে র্যাব।
আরও পড়ুন— মেহেরপুরে বিরোধের জেরে বোন ও ভাইয়ের স্ত্রীকে হত্যা
র্যাবের একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশের নিয়ম অনুযায়ী যেহুতু কোনো বাহিনীর সদস্যের বিচার সাধারণ কোর্টে হওয়ার নিয়ম নেই, ফলে তাদের বিচার ওই বাহিনী তাদের নিয়মে করবে। এজন্য তাদের হাতে তুলে দেবে র্যাব।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গভীর রাতে সেনাবাহিনী ও র্যাবের পোশাক পরে ডাকাতির সেই ঘটনায় লুট করা সাত লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন জানান, গত শুক্রবার দিনগত রাতে মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তার মোড় বেড়িবাঁধ এলাকায় ব্যবসায়ীর বাসায় ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান চলমান।
এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভারে গাড়ি থামিয়ে র্যাব পরিচয়ে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন, আরিয়ান আহমেদ জয়, আব্দুল মোমেন ও মো. ফরহাদ হোসেন।
এদের মধ্যে র্যাব সদস্য আব্দুল মোমেন সেনাবাহিনীরও সদস্য হওয়ায় কোর্ট মার্শালে বিচারের জন্য তাকে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।