২০২৪ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক ৫৩ বছর বয়সি হান কাং। হান কাং তার ‘গভীর কাব্যিক গদ্য, যা ঐতিহাসিক আঘাতগুলোকে উন্মোচন করে এবং মানবজীবনের নাজুকতাকে সামনে আনে’—এই অনন্য লেখনীশৈলীর জন্য তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সম্মানজনক এ পুরস্কারের জন্য তার নাম ঘোষণা করেছে।
এর আগে ২০২৩ সালে নরওয়ের লেখক ও নাট্যকার জন ফস সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। তিনি তার ‘উদ্ভাবনী নাটক ও গদ্যের’ জন্য নোবেল পুরস্কার পান, যা অপ্রকাশিত অনুভূতিগুলোর কণ্ঠ দেয়।
২০১৬ সালের আন্তর্জাতিক ম্যান বুকার প্রাইজ পেয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার এই লেখক । উপন্যাস দ্য ভেজিটেরিয়ান`র জন্য তাকে এই পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হয়।
হান কাংয়ের প্রথম ইংরেজি উপন্যাস `দ্য ভেজিটেরিয়ান` সম্পর্কে দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার সমালোচক ড্যানিয়েল হ্যান মন্তব্য করেছেন, বইটির তিন খণ্ড জুড়ে সমাজের সবচেয়ে অপরিবর্তনশীল কয়েকটি কাঠামোর অসহনীয় চাপ পাঠকমনকে বিচলিত করে তোলে। এই উপাদানগুলো হল চাহিদা ও আচরণ এবং প্রতিষ্ঠানগত কর্মপদ্ধতি, যা একে একে ব্যর্থ প্রতিপন্ন হয়।
আরও পড়ুন— আরও ৩ মৃত্যু ডেঙ্গুতে , হাসপাতালে ভর্তি ১০৩৩
হান কাং ১৯৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার শহর গোয়াংজুতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নয় বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে সিউলে চলে আসেন। হ্যান ক্যাং একটি সাহিত্যিক পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। তার বাবা একজন স্বনামধন্য ঔপন্যাসিক। তিনি লেখার পাশাপাশি শিল্প ও সঙ্গীতেও নিজেকে নিয়োজিত করেছেন, যা তার সাহিত্যে প্রতিফলিত হয়।
সাহিত্যের নোবেল পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরুষপ্রধান হওয়ার একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এখন পর্যন্ত মাত্র ১৭ জন নারী এই পুরস্কার পেয়েছেন। হান কাং-এর আগে সর্বশেষ নারী বিজয়ী ছিলেন ফ্রান্সের অ্যানি এরনো। যিনি ২০২২ সালে সাহিত্যে নোবেল পেয়েছিলেন।
নোবেল পুরস্কারের সঙ্গে ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা (প্রায় ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) নগদ পুরস্কার দেওয়া হয়।
এ পুরস্কারটি ১৯০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১১৬ বার দেওয়া হয়েছে, যা সুইডিশ উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের উইল থেকে প্রাপ্ত। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১০ ডিসেম্বর তুলে দেওয়া হবে। যার সঙ্গে বিজয়ীদের একটি মেডেলও দেওয়া হবে।