ঊর্ধ্বমুখী দেশের নিত্যপণ্যের বাজার। পিছিয়ে নেই ফলের দামও। বাড়তির দিকে প্রায় সব ধরনের ফলে দাম। এতে দিশেহারা সাধারণ ভোক্তারা।
বুধবার (৯ অক্টোবর) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এবং রাজধানীর কারওয়ানবাজার ফলের বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বাজারে মাল্টা ২৮০ টাকা, সবুজ আপেল ৩৪০ টাকা, রয়েল গালা আপেল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, ফুজি আপেল ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা, নাশপাতি ৪০০ টাকা, আনার ৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কমলা ৩৫০ টাকা, লাল আঙুর ৪৮০ টাকা, সবুজ আঙুর ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে প্রতি কেজি দাবাস খেজুর ৪৬০ থেকে ৪৮০ টাকা, আজওয়া খেজুর ১ হাজার ২০০ টাকা, বরই খেজুর ৫০০ থেকে ৫৮০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা ও মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়।
আরও পড়ুন— শপথ নিলেন হাইকোর্টের ২৩ বিচারপতি
এছাড়াও পেঁপে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি, পেয়ারা ৭০-৮০ টাকা, ডাব প্রতি পিস ১২০-১৫০ টাকা ও মানভেদে প্রতি পিস আনারস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
ক্রেতারা বলছেন, সবজি-মাছের বাজারের উত্তাপ ছড়িয়েছে ফলের বাজারেও। দাম বেড়ে গেছে প্রায় প্রতিটি ফলেরেই। আফজাল নামে এক ক্রেতা বলেন, রোজার সময় চাহিদা বাড়ায় ফলের দাম বাড়ে, সেটি স্বাভাবিক। কিন্তু এখন দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দাম বাড়াচ্ছেন।
বাজারে আমদানি কমের অজুহাত দিয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি ও আড়ত পর্যায়ে কমেছে ফলের সরবরাহ। এতে পাইকারিতে দাম বাড়ায় এর প্রভাব পড়ছে খুচরাতেও।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারের এক ফল বিক্রেতা জানান, ফলের আমদানি কমেছে। তাই দাম বাড়ছে। এলসি সংকট খুব একটা নেই বর্তমানে।
তবে আমদানিকারকরা ইচ্ছে করে বিদেশি ফল বাজারে কম ছাড়ছেন আর হাতিয়ে নিচ্ছেন বাড়তি দাম এমন অভিযোগ রয়েছে খুচরা বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের।