ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবশেষ অবস্থান সম্পর্কে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নিশ্চিত কোনো বার্তা নেই মন্তব্য করে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন বলেন, তার (শেখ হাসিনা) অবস্থান জানতে ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে খবর ছড়িয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভারত থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে গেছেন। সে ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওয়াকিবহাল কি না- প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থানের বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। মিডিয়ায় আপনারা যেমন দেখেছেন, আমরাও দেখেছি যে, উনি আমিরাতের আজমানে গেছেন। আমরা দিল্লিতেও এ বিষয়ে খোঁজ করেছি। কনফারমেশন (নিশ্চয়তা) কেউ দিতে পারেনি।
তবে আপনারা যেমনটি দেখেছেন আমরাও দেখেছি উনি আজমানে সম্ভবত গেছেন। কিন্তু সেটা রি-কনফার্মের চেষ্টা করেও আমরা সফল হইনি।
পলাতক সাবেক মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তারা ফিরতে চাইলে ট্রাভেল পাস দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারতে অবস্থান করা রাজনীতিবীদদের ট্রাভেল পাস দেবার কোন কারণ নেই। আইন বিভাগ চাইলে তাদের ফেরত আনার চেষ্টা করা হবে।
আরও পড়ুন— আবু সাঈদ হত্যা: ২ পুলিশ সদস্য ৪ দিনের রিমান্ডে
ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ট্রাভেল পাস নিয়ে অন্য দেশে পালিয়ে যাচ্ছেন। পলাতক সাবেক মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তারা ফিরতে চাইলে ট্রাভেল পাস দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতে অবস্থান করা রাজনীতিবীদদের ট্রাভেল পাস দেবার কোন কারণ নেই। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে বাংলাদেশে ফেরার জন্য ট্রাভেল পাস ইস্যু করা হয়ে থাকে। এটা অন্য কোনো দেশে যাওয়ার জন্য নয়।আইন বিভাগ চাইলে তাদের ফেরত আনার চেষ্টা করা হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে শেখ হাসিনাকে ভারত অন্য দেশে পাঠাল কি না- এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে জেনে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইতালির ভিসা জটিলতা আছে। তারা সমস্যা সমাধানে কাজ করছে। তবে গতি কম। ৪০ হাজার আবেদন আটকা আছে। ২০ হাজার ইতালি ভেরিফাই হয়ে এসেছে। ছোট খাটো কিছু অনিয়মের অভিযোগ আছে। ভেরিফাই হওয়া গুলো ডিসেম্বরের মধ্যে ভিসা হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, লেবাননে থাকা বাংলাদেশিদের জন্য আমরা আইওএমের কাছে বিশেষ ফ্লাইটের জন্য যোগাযোগ করেছি। কিন্তু বৈরুতের বিমানবন্দরের ঝামেলার কারণে এখনো ফেরত আনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
