উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা তিনদিন অবিরাম বৃষ্টিতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সহ পাশ্ববর্তি উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই। পানির চাপ কমাতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বিপদসীমার ৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ইতিমধ্যে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চলগুলোর ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে। নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষজন বন্যা ও নদীভাঙন আতঙ্কে পড়েছেন।
আরও পড়ুন— ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৪ জেলায় বন্যার শঙ্কা
এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি, পাটিকাপাড়া, সিন্দুর্ণা,চর ধুবনি, গড্ডিমারী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ও ৭ টি চর ও পাশ্ববর্তী কালীগঞ্জ, আদিতমারী উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে পানি উঠতে শুরু করেছে ।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জিয়াউল হক জিয়া বলেন, ক’দিন ধরে টানা বর্ষণের তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ইউনিয়নের্ নিম্নাঞ্চল ও এলাকায় রাস্তাঘাটে পানি উঠে চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, তিস্তার পানি বিপদসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।