বৃহস্পতিবারের টানা বৃষ্টি রাজধানীবাসীকে যাতায়াতে বিড়ম্বনায় ফেলে তাদের কর্মদিবসকে বিঘ্নিত করেছে।
সকালে বৃষ্টির সময় সড়কে যানবাহন সংকট ও ধীরগতির যানবাহনের কারণে অফিস ও স্কুলগামীদের দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে।
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপের প্রভাবে সৃষ্ট এ বৃষ্টিপাত বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
বৃষ্টিতে মালিবাগ, মৌচাক ও মালিবাগ চৌধুরী পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পানিতে ডুবে গেছে গলিগুলো। এরমধ্যেই দূর্ভোগে মালিবাগ ১ নম্বর গলির শেষের দিকে বাংতুল মামুর জামে মসজিদ এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা এতোটাই খাড়াপ অবস্থায় যে সামান্য বৃষ্টি হলেই ড্রেনের ময়লা পানিতে রাস্তা হয়ে যায় সয়লাব।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম এনজমুল হক জানান, বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ মিলিমিটার এবং বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ছয় ঘণ্টায় ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আজ শুক্রবার থেকে বৃষ্টিপাত কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন— ধলেশ্বরী নদীতে গোসলে নেমে বাবা-মেয়ে নিখোঁজ
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কুমারখালীতে দেশের সর্বোচ্চ ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
মৌসুমী বায়ুর অক্ষ ভারতের মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর সঙ্গে সম্পর্কিত একটি খাত উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
পশ্চিম-মধ্য ও সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি নিষ্ক্রিয় হয়ে মৌসুমি অক্ষের সঙ্গে মিশে গেছে।