লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি শহর ও গ্রামে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এই হামলায় লেবাননে কমপক্ষে ১০০ জন নিহত ও আরও তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
সোমবার ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ১০০ জন নিহত ও আরও ৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে নারী, শিশু ও মেডিক্যাল কর্মীরাও রয়েছেন।
এক বিবৃতিতে লেবাননের সরকারি জরুরি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নারী, শিশু, প্যারামেডিকস-সহ তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
এর আগে ইসরায়েল যে সব এলাকা থেকে লেবাননের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সতর্ক করেছিল যেখানে তারা (ইসরায়েল) বলেছে যে সশস্ত্র গোষ্ঠী অস্ত্র মজুত করছে।
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান থেকে শত শত স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিবিসির একজন প্রতিনিধি। লেবাননের সাথে ইসরায়েলের চলমান উত্তেজনায় এখন পর্যন্ত সোমবারের হামলাই সবচেয়ে তীব্র বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন— বিবস্ত্র ১৫ আগস্ট ও দিশেহারা আওয়ামী লীগ কর্মীরা
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী সোমবার সকালের পরপরই লেবাননের দক্ষিণে হিজবুল্লাহর ৩ শতাধিক স্থাপনায় হামলা চালানোর দাবি করেছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, লেবাননে হামলা আরও তীব্র করা হচ্ছে। হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ইসরায়েলিকে উত্তরে ফেরানোর জন্য ‘‘আমাদের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত’’ এই হামলা চলবে।
গত সপ্তাহে লেবাননের সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সদস্যদের ব্যবহার করা হাজার হাজার পেজার ও ওয়াকি-টকিতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের এই ঘটনায় লেবাননে ৪০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে; যাদের মধ্যে হিজবুল্লাহর অন্তত ১৬ সদস্য রয়েছেন। এই বিস্ফোরণের জন্য ইসরায়েলকে ব্যাপকভাবে দায়ী করছে হিজবুল্লাহ।
সশস্ত্র গোষ্ঠীটির যোগাযোগের যন্ত্রে বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মাঝেই সোমবার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় একাধিক শহরে একযোগে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।