Dianta-News-PNG
ঢাকা শনিবার- ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৩ মহর্‌রম ১৪৪৭ রাত ১:১২
 

বিএনপি’র দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু

দিগন্ত নিউজঃ
জুন ২১, ২০২৫ ৪:২০ অপরাহ্ণ
  • বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সেই ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু

    নিহত ছাত্রদল কর্মী ঈসমাইল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

Link Copied!

নরসিংদীর পলাশে বিএনপি’র দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল কর্মী ঈসমাইল হোসেন (২৬) ছয় দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন। ঈসমাইলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বাবা আব্দুর রহিম ভূঁইয়া।

শনিবার (২১ জুন) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

নিহত ঈসমাইল পলাশ থানার ঘোড়াশাল পৌরসভার খানেপুর মহল্লার বাসিন্দা আব্দুর রহিম ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

মৃত্যু ঈসমাইলের বাবা বলেন, ‘আজ দুপুর ২টার দিকে আমার ছেলে ঢাকা মেডিকেলে মারা গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং আজ রাতেই তাকে আমাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি সরকারের কাছে আমার সন্তানের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

এ বিষয়ে পলাশ থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর পাপন বলেন, ‘নিহত ঈসমাইল আমাদের দলের নিবেদিত কর্মী ছিলেন। গত ১৫ জুন ছাত্রদলের একটি শান্তিপূর্ণ মিছিলে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের নেতৃত্বাধীন একটি পক্ষ হামলা চালায় এবং গুলি ছোড়ে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। ঈসমাইল ওই সময় গুলিবিদ্ধ হন এবং আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই।’

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, ‘ঈসমাইল হোসেনের মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি। তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছু জানায়নি। যথাযথভাবে তথ্য পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন (রোববার) সন্ধ্যার দিকে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার বিএডিসির মোড়ে বিএনপির দুটি গ্রুপ— পলাশ উপজেলা ছাত্রদল এবং জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত ঈসমাইল হোসেনকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় ওই রাতেই ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিয়াম মিয়া বাদী হয়ে ফজলুল কবির জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করে পলাশ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে জুয়েলের পক্ষ থেকেও পাল্টা মামলা দায়ের করা হয়।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ফজলুল কবির জুয়েলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

দিগন্ত নিউজ/নয়ন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল দিগন্তনিউজ.কম ’এ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি- আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন Gmail Icon ঠিকানায়।
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • আপনার এলাকার খবর খুঁজুন

    খুঁজুন