Dianta-News-PNG
ঢাকা শনিবার- ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৩ মহর্‌রম ১৪৪৭ রাত ১:৩৭
 

কোন শর্তে কবুল হবে কোরবানি

দিগন্ত নিউজঃ
মে ৩০, ২০২৫ ৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ইসলামের বিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমান নরনারীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব। নিসাব পরিমান সম্পদের মালিক হলে, অবশ্যই কোরবানি দিতে হবে। কোরবানি হবে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে, অন্য কোনো উদ্দেশ্য যেন মুখ্য না হয় সে ব্যাপারে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে যদি কোরবানি করা হয়, তাহলে তা আল্লাহর কাছে গৃহীত হবে না।

মনে রাখতে হবে, কোরবানি কোনো লোক দেখানো বিষয় না। নিজের সম্পদ প্রদর্শন ও বিত্তের মহড়া দেওয়ার জন্য কোরবানি দিলে কোরবানি আল্লাহর কাছে গৃহীত হবে না। কোরবানি করার আগে তাই মাথায় রাখতে হবে কোন শর্তগুলো মাথায় রাখলে কোরবানি খোদার দরবারে কবুল হবে।

কোরবানির অন্যতম প্রধান শর্ত হলো বিশুদ্ধ নিয়ত। নিয়ত হলো- কাজের আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ, যা কোরবানির পূর্ণতার জন্য অপরিহার্য। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘এগুলোর (কোরবানির পশুর) গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না। কিন্তু পৌঁছে তাঁর নিকট তোমাদের মনের তাকওয়া।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৩৭)

কোরবানি করতে হবে হালাল সম্পদ থেকে। হারাম মিশ্রিত সম্পদের বিনিময়ে ক্রয়কৃত পশুর কোরবানি আল্লাহর নিকট কবুল হবে না।

হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা পবিত্র, তিনি কেবল পবিত্র জিনিসই কবুল করেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৩৯৩)

সেইসঙ্গে কোরবানির অংশীদার নির্বাচন করার সময় অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে। যদি কারো ব্যাপারে নিশ্চিত জানা যায় যে, সে হারাম সম্পদ থেকে কোরবানি করছে, তাহলে এমন ব্যক্তির সঙ্গে এক পশুতে কোরবানি করা যাবে না। শরিয়তের দৃষ্টিতে এমন লোকের কোরবানি এবং তার সঙ্গে অন্যান্য শরিকদের কোরবানিও কবুল হবে না।

যে কোনো পশু দিয়ে কোরবানি করলেই তা গ্রহণযোগ্য হবে, তা না। কোরবানির পশু হতে হবে গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তু। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কুরবানি নির্ধারণ করেছি, যেন তারা আল্লাহর দেওয়া চতুষ্পদ জন্তু জবাই করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে’ (সুরা হজ, আয়াত: ৩৪)

চতুষ্পদ জন্তুর অন্তর্ভুক্ত হলো উট, গরু, মহিষ, বকরি, ভেড়া ও দুম্বা। এগুলো ব্যতীত অন্য কোনো প্রকার পশু দ্বারা কুরবানি বৈধ হবে না। (কাজিখান: ৩/৩৪৮)

নির্ধারিত পশুর পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোরবানি করা আবশ্যক। কোরবানির সময় শুরু হয় ঈদুল আজহার নামাজের পর থেকে এবং তা অবশিষ্ট থাকে ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত। (হিন্দিয়া: ৫/২৯৫) এর আগে বা পরে কুরবানির পশু জবাই করলে তা দ্বারা কুরবানি আদায় হবে না।

কুরবানির পশু অবশ্যই ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী জবাই করতে হবে। জবাইকারীর মুসলমান হওয়া এবং আল্লাহর নামে জবাই করা আবশ্যক।

এছাড়া ব্যবহৃত ছুরি বা যন্ত্রপাতি ধারালো হতে হবে, যাতে পশুর কষ্ট কম হয়। কুরবানির পশু নিজ হাতে জবাই করা উত্তম। তবে অন্যকে দিয়েও জবাই করাতে পারবে। এক্ষেত্রে কুরবানিদাতা পুরুষ হলে জবাইয়ের সময় সেখানে উপস্থিত থাকা উত্তম। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২২৬৫৭)

দিগন্ত নিউজ/নয়ন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল দিগন্তনিউজ.কম ’এ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি- আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন Gmail Icon ঠিকানায়।
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • আপনার এলাকার খবর খুঁজুন

    খুঁজুন