ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রেপ্তারের পর যুবলীগের এক নেতাকে ছিনিয়ে নিতে থানা ঘেরাওয়ের অভিযোগ উঠেছে তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল থানায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার মতিউর রহমান মতি (৪৫) উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি হোসেনগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরশেদুল হক বলেন, ‘মারধর, শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন হোসেনগাঁও ইউনিয়নের উত্তরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মমতাজ আলী। এ মামলায় হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতিকে প্রধান আসামি করা হয়। এ ছাড়াও মামলায় আরও দুইজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামি করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘থানায় মামলা দায়েরের পর আজ ভোরে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি মতিকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়। এ ঘটনায় আজ দুপুরে মতিকে ছিনিয়ে নিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকে তার সমর্থকরা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাফিউল মাজলুবিন রহমান ঘটনাস্থলে এসে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তারপরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ’
ওসি আরও বলেন, ‘মৃদু লাঠিচার্জ করার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গ্রেপ্তার মতিকে আদালতে পাঠানো হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
ইউএনও শাফিউল মাজলুবিন রহমান বলেন, ‘থানা ঘেরাও করার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে লোকজনদের বোঝানোর চেষ্টা করি। খালি গলায় ও হ্যান্ডমাইকের মাধ্যমে প্রায় আধাঘণ্টা ধরে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। ’
