সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, শিল্পকলা একাডেমি অভিভাবকহীন নয়। অভিভাবকহীন হলে শিল্পকলা একাডেমি এতগুলো প্রোগ্রাম করতে পারত না।
বুধবার (৯ এপ্রিল০ জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমার ধারণা শিল্পকলার ইতিহাসে ঈদ ও পহেলা বৈশাখ নিয়ে এত বড় স্কেলের এবং এত বেশি প্রোগ্রাম আগে করা হয়নি। প্রোগ্রামের শুধু সংখ্যা না, প্রোগ্রামগুলোর পেছনে ভাবনা যদি দেখেন, তাহলে দেখবেন ভেরি ইনোভেটিভ।
“অভিভাবকহীন একটা শিল্পকলা একাডেমি এ ধরনের প্রোগ্রাম করতে পারে না। তারা যথেষ্ট সক্ষমতার পরিচয় দিচ্ছে। শিল্পকলায় যারা কাজ করছেন আমি তাদের সবাইকে এই সুযোগে ধন্যবাদ জানাতে চাই”— সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরও বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য আলোচিত হওয়া না। আমাদের মূল ফোকাস দুটি। একটা হচ্ছে কালচারাল হিলিং, এই জাতির অন্তরে গভীর ক্ষত হয়েছে কালচারাল বিভাজন ও ফ্যাসিবাদের ফলে। কালচারালি হিল করা আমাদের জন্য খুব জরুরি। দ্বিতীয়টা হচ্ছে কালচারাল ইনক্লুসিভনেস। আপনারা যদি আমাদের কর্মসূচিগুলো দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন যে, ৫৪ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশে কখনো শিল্পকলা একাডেমিতে চাঁদরাতের উৎসব হয়নি, এবার হয়েছে। সামনে সারা দেশের সবগুলো শিল্পকলা একাডেমিতে হবে।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, একইসঙ্গে নববর্ষ ও চৈত্র সংক্রান্তি মিলে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানগুলোর ইনক্লুসিভনেস যদি দেখেন, এর আগে কখনো বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আমরা সেটা করেছি, কারণ এই উৎসবটা পুরো বাংলাদেশের। তাই সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে।
