শেরপুর সদর উপজেলায় এক কৃষকের বরবটি, জিঙে ও ধুন্দলের প্রায় ৩ হাজার গাছ কেটে দিয়েছে কে বা কারা। এতে ঋণ নিয়ে সবজি চাষ করা ওই কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
বুধবার রাতে জঙ্গলদি দক্ষিণপাড়ায় গ্রামের প্রায় ২৫ শতাংশ জমি জুড়ে থাকা এসব সবজি গাছ কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষেতের মালিক কৃষক আলম মোল্লা।
আলম মোল্লা ওই গ্রামের কৃষক আরশাদ আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার বিকালে আলম সাংবাদিকদের বলেন, “আমার এক বিঘা জমিতে জিঙ্গা, বরবটি ও ধুন্দল ফসল আছিল। বুধবার রাতে শত্রুতামি কইরা কে বা কারা প্রায় ৩ হাজার গাছ কাইটা দিছে। খেতের সাইডে কিছু জমির গাছ অহন আছে। আমি খুব কষ্ট কইরা জমিডাতে সমিতি থাইকা লোন কইরা ফসল করছিলাম। প্রায় এক লাখ টেহা খরচ কইরা এই ফসল করছিলাম। গাছগুলায় ফসলও ভালা হইছিল। অহন ফসলের দাম ভাল আমি কমপক্ষে ৪ লাখ টেহা বেঁচতাম।”
দিশেহারা এ কৃষক বলেন, “আইজ (বৃহস্পতিবার) সকালে প্রায় ১০ কেজি ঝিঙ্গা ক্ষেত থাইকা তুইলা বাজারে নিয়ে বিক্রি করার কথা ছিল। এহন আমারে শেষ কইরা দিছে।”
এ ঘটনার বিচার দাবি করে ভুক্তভোগী এ কৃষক জানান অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।
এ বিষয়ে শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হুমায়ুন কবির বলেন, “ফসল কেটে ক্ষতির বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনা শেরপুরে প্রায়ই ঘটছে।”
ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার পর ওই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
