ওভাল টেস্ট, সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ৩২৫ ও ১৫৬, শ্রীলঙ্কা: ২৬৩ ও ২১৯ /২
সিরিজ: ইংল্যান্ড ২: ১ শ্রীলঙ্কা, ফল: শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: পাথুম নিসাঙ্কা, সিরিজসেরা: জো রুট
ওভাল টেস্টের তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিলো এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই ৮ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছাড়ে সফরকারীরা। এরমধ্যে দিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর পর ইংলিশদের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছে লঙ্কানরা। ২০১৪ সালে হেডিংলিতে সর্বশেষ ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। মাঝের এক দশকে ১০ টেস্টের ৯টি জেতে ইংল্যান্ড আর অন্যটি হয় ড্র।
আরও পড়ুন— স্নাতক পাসে নিয়োগ দিচ্ছে এডিবল অয়েল, নেই বয়সসীমা
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ওভালে ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা তৃতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন ছিল। ২১৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কাকে জয় তুলে নিতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। যদিও সিরিজের প্রথম দুই টেস্ট হেরে আগেই সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে শ্রীলঙ্কার। ১৯৯৮ সালে এই মাঠে একটি মাত্র টেস্ট খেলে জয় পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জয়ের আশা জাগিয়ে গতকাল তৃতীয় দিন পার করে শ্রীলঙ্কা। আজ জয়ের জন্য দরকার ছিল ১২৪ রান। হাতে ৯ উইকেট। লঙ্কানদের এমন সহজ সমীকরণের সামনে কিছুই করার ছিল ইংলিশ বোলারদের। তবে দিনের চতুর্থ ওভারের মধ্যে ৩০ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা কুশল মেন্ডিসকে (৩৯) ফিরিয়ে কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন পেসার গাস অ্যাটকিনসন। কিন্তু সারাদিনে ১৫৩ বল খেলা হলেও উইকেট বলতে ওই একটিই।
আরও পড়ুন— তাকে ডিজিএফআই ধরেনিয়ে “দখল করে ইসলামী ব্যাংক” – সাবেক এমডি আব্দুল মান্নান
ওয়ানডের মতো করে ওভারপ্রতি পাঁচের বেশি রান তুললেও কখনও তেমন ঝুঁকি নেননি দুই ব্যাটার। তাদের ১১১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ জিতে যায় শ্রীলঙ্কা। ১০৭ বলে ১১ চারে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন নিসাঙ্কা। এরপর আরও দুটি করে চার-ছক্কা মারেন তিনি। ৬১ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাথিউজ।
প্রথম ইনিংসে ৬২ রানের লিড নিলেও ইংল্যান্ড ওভাল টেস্ট হারল দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতায়। ৩ উইকেটে ২২১ রানে প্রথম দিন পার করা ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে পায় ৩২৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে দুই পেসার লাহিরু কুমারা ও বিশ্ব ফার্নান্দোর তোপে গতকাল গুটিয়ে ১৫৬ রানে। ম্যাচটি তখনই যেন হাতছাড়া হয়ে যায় স্বাগতিকদের। সঙ্গে ইংলিশরা গ্রীষ্ম মৌসুমও শেষ করল হার দিয়ে।
তবে দুর্দান্ত জয়ে রেকর্ডও গড়েছে শ্রীলঙ্কা। ইংল্যান্ডে তাদের ২১৯ রান তাড়া করে জয় কোনো এশিয়ান দলের পক্ষে সর্বোচ্চ। আগেরটি ছিল পাকিস্তানের। ২০১০ সালে হেডিংলিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৮০ রান তাড়া করে জিতেছিল পাকিস্তান।